বসন্ত এসেছে নীলমণি লতায়
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০১৬, ০২:১৬
আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৬, ০২:১৮
আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৬, ০২:১৮
লতানো গাছ। ওপরের দিকটা ঝাঁকড়া। পাতা নেই বললেই চলে। ডালপালাগুলো ফুলে ফুলে ঢাকা। পাশ দিয়ে গেলে নজর কাড়ছে। জানান দিচ্ছে বসন্তের। ঝরা ফুলে গাছতলাটা হয়েছে মনোরম। যেন নীল নকশার মাদুর পাতা।
বাংলাদেশে ফুলটির নাম ‘নীলমণি লতা’। নামটি রবীন্দ্রনাথের দেওয়া। ফুটেছে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের পাশে রাধানগর রথঘর মহল্লার তাহসিনা রশিদের বাগানে। মনোরম ফুলটির সৌন্দর্য চোখে আরাম দেয়।
বৃক্ষটির আদি বাস ব্যাংককে। চারা এনে রোপণ করা হয়েছিল পাবনায়। বিদেশি হলেও ইদানীং বাংলাদেশের কোথাও কোথাও গাছটি দেখা যায়। গাছের পাতা খুব খসখসে। অনেকেই গাছটিকে ‘সেন্ড পেপার লতা’ বলেন। বৈজ্ঞানিক নাম petrea volubilis। এটি verbenaceae পরিবারের একটি উদ্ভিদ।
আকর্ষণীয় এই ফুলে কোনো গন্ধ নেই। তবে ফুলে প্রচুর মধু হয়। তাই ফুলটির আশপাশে ভ্রমর ও মৌমাছির আনাগোনা থাকে। যেকোনো ধরনের মাটিতে জন্মায়। সারা বছরই ফুল দিতে থাকে। তবে বসন্তে প্রচুর ফুল ফোটায় রূপ হয় অপরূপ। শীতে ফুল কমতে থাকে। নীলরঙা প্রতিটি ফুলে পাঁচটি করে পাপড়ি থাকে আর নিচে থাকে একটু বড় আকারের হালকা নীল রঙের পাঁচটি বৃন্ত। প্রতিটি পুষ্পমঞ্জরিতে ১০ থেকে ৩০ বা তারও বেশি ফুল থাকে। ছোট ফুলগুলো সাজানো থাকে লম্বা পুষ্পমঞ্জরিতে। ফোটার চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে পাপড়িগুলো ঝরে পড়ে। তবে নীল রঙের বৃন্তগুলো থেকে যায় অনেক দিন।
৪ মার্চ পাবনা শহর থেকে সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় চোখে পড়ে গাছটি। পথচলতি মানুষকে আকৃষ্ট করছিল ফুলগুলো। গাছতলায় গিয়ে চোখে পড়ল মনোমুগ্ধকর দৃশ্য, যেন ঝরা ফুলের নীল মাদুর পাতা পুরো বাগানে।
কথা হয় বাগানের মালিক তাহসিনা রশিদের সঙ্গে। তিনি জানান লতা-গাছটির পরিচয়। আট থেকে নয় বছর আগে তাঁর বড় বোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সুলতানা বানু গিয়েছিলেন ব্যাংককে। তিনিই সেখান থেকে গাছের চারাটি এনেছিলেন। এরপর রোপণ করা হয়েছিল তাঁর বাড়িতে। বছর তিনেকের মধ্যে ফুল দিতে শুরু করেছিল। তখন আকৃতি ছোট থাকায় কারও চোখে পড়েনি। দিনে দিনে গাছটি অনেক বড় হয়েছে। এখন চোখে পড়ছে সবার।
তাহসিনা রশিদ বলেন, গাছটিতে যখন ফুল ফোটে, তখন মন মাতিয়ে তোলে। মন খারাপের সময়টাতে এনে দেয় প্রফুল্লতা। এডওয়ার্ড কলেজের শিক্ষার্থীরাসহ বহু মানুষ ফুলটি দেখতে আসেন। তখন আরও ভালো লাগে।
এডওয়ার্ড কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ কে এম শওকত আলী খান বলেন, ‘ফুলগুলো আকর্ষণীয়। কারও চোখে পড়লে তাকিয়ে থাকতে বাধ্য। আমরাও অনেক দিন ধরে ফুলগুলো দেখছি। কিন্তু নাম জানা ছিল না।’
উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহানাজ পারভীন বলেন, ‘আমার জানামতে, নীলমণি লতা বাংলাদেশে খুব কম রয়েছে। তবে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও হুনমায়ূন আহমেদের নুহাশপল্লীতে এ লতা আছে বলে শুনেছি।’
বাংলাদেশে ফুলটির নাম ‘নীলমণি লতা’। নামটি রবীন্দ্রনাথের দেওয়া। ফুটেছে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের পাশে রাধানগর রথঘর মহল্লার তাহসিনা রশিদের বাগানে। মনোরম ফুলটির সৌন্দর্য চোখে আরাম দেয়।
বৃক্ষটির আদি বাস ব্যাংককে। চারা এনে রোপণ করা হয়েছিল পাবনায়। বিদেশি হলেও ইদানীং বাংলাদেশের কোথাও কোথাও গাছটি দেখা যায়। গাছের পাতা খুব খসখসে। অনেকেই গাছটিকে ‘সেন্ড পেপার লতা’ বলেন। বৈজ্ঞানিক নাম petrea volubilis। এটি verbenaceae পরিবারের একটি উদ্ভিদ।
আকর্ষণীয় এই ফুলে কোনো গন্ধ নেই। তবে ফুলে প্রচুর মধু হয়। তাই ফুলটির আশপাশে ভ্রমর ও মৌমাছির আনাগোনা থাকে। যেকোনো ধরনের মাটিতে জন্মায়। সারা বছরই ফুল দিতে থাকে। তবে বসন্তে প্রচুর ফুল ফোটায় রূপ হয় অপরূপ। শীতে ফুল কমতে থাকে। নীলরঙা প্রতিটি ফুলে পাঁচটি করে পাপড়ি থাকে আর নিচে থাকে একটু বড় আকারের হালকা নীল রঙের পাঁচটি বৃন্ত। প্রতিটি পুষ্পমঞ্জরিতে ১০ থেকে ৩০ বা তারও বেশি ফুল থাকে। ছোট ফুলগুলো সাজানো থাকে লম্বা পুষ্পমঞ্জরিতে। ফোটার চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে পাপড়িগুলো ঝরে পড়ে। তবে নীল রঙের বৃন্তগুলো থেকে যায় অনেক দিন।
৪ মার্চ পাবনা শহর থেকে সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় চোখে পড়ে গাছটি। পথচলতি মানুষকে আকৃষ্ট করছিল ফুলগুলো। গাছতলায় গিয়ে চোখে পড়ল মনোমুগ্ধকর দৃশ্য, যেন ঝরা ফুলের নীল মাদুর পাতা পুরো বাগানে।
কথা হয় বাগানের মালিক তাহসিনা রশিদের সঙ্গে। তিনি জানান লতা-গাছটির পরিচয়। আট থেকে নয় বছর আগে তাঁর বড় বোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সুলতানা বানু গিয়েছিলেন ব্যাংককে। তিনিই সেখান থেকে গাছের চারাটি এনেছিলেন। এরপর রোপণ করা হয়েছিল তাঁর বাড়িতে। বছর তিনেকের মধ্যে ফুল দিতে শুরু করেছিল। তখন আকৃতি ছোট থাকায় কারও চোখে পড়েনি। দিনে দিনে গাছটি অনেক বড় হয়েছে। এখন চোখে পড়ছে সবার।
তাহসিনা রশিদ বলেন, গাছটিতে যখন ফুল ফোটে, তখন মন মাতিয়ে তোলে। মন খারাপের সময়টাতে এনে দেয় প্রফুল্লতা। এডওয়ার্ড কলেজের শিক্ষার্থীরাসহ বহু মানুষ ফুলটি দেখতে আসেন। তখন আরও ভালো লাগে।
এডওয়ার্ড কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ কে এম শওকত আলী খান বলেন, ‘ফুলগুলো আকর্ষণীয়। কারও চোখে পড়লে তাকিয়ে থাকতে বাধ্য। আমরাও অনেক দিন ধরে ফুলগুলো দেখছি। কিন্তু নাম জানা ছিল না।’
উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহানাজ পারভীন বলেন, ‘আমার জানামতে, নীলমণি লতা বাংলাদেশে খুব কম রয়েছে। তবে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও হুনমায়ূন আহমেদের নুহাশপল্লীতে এ লতা আছে বলে শুনেছি।’